মালদা

সাত বছরের দেওরকে নদীর জলে চুবিয়ে খুন করলো বৌদি

মহানন্দা নদীর জলে চুবিয়ে খুন এক সাত বছরের শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গাজোলের বৈরগাছি ২ নম্বর অঞ্চলের ভাটিটোলা গ্রামে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুরে। 
    ওই শিশুটির হত্যা করেছে তারই বৌদি। বৌদির হাতে বছর সাত এর দেওর খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গাজোলের বৈরগাছি ২ নম্বর অঞ্চলের ভাটিটোলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মহানন্দা নদীর জলে চুবিয়ে ইয়াসিন আলিকে খুন করে তার বৌদি আদুরি বিবি। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বিকেলবেলা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াসিনের দেহ। নদীর জলে ডুবে মারা গেছে ইয়াসিন এমনই অনুমান করে শনিবার সন্ধ্যাবেলা ইয়াসিনের মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। কিন্তু ইয়াসিনের বৌদির কথাবার্তায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করলে পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের মানুষরা আদুরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাই ইয়াসিনের মৃত্যুর নতুন রহস্য জানা যায়। আদুরি স্বীকার করে ইয়াসিনকে সে খুন করেছে। এরপর আদুরিকে শনিবার রাতে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে ইয়াসিনের দেহ কবর থেকে তোলা হয়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইয়াসিনের বাবা মহিদুর রহমান এর অভিযোগের ভিত্তিতে আদুরি বিবিকে এদিন গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। 
    স্থানিয়রা অভিযোগ করে বলেন, ২২ দিন আগে একই ভাবে ভাগ্নেকে জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল আদুরি। তবে শুধুমাত্র দুষ্টুমি করার জন্য ৭ বছরের দেওরকে রাগের বশে খুন করেছে আদুরি, নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারন আছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করে বলেন এদিন ইয়াসিনকে চুবিয়ে খুন করে আদুরি এরপর ভেজা জামা কাপড় পাল্টে সে বাড়ি চলে আসে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াসিন এর খোঁজ না পেয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করলে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় নদী থেকে। তারপর পরিবার ও গ্রামবাসীর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে আদুরি।